তানোর আওয়ামী লীগে চরম অসন্তোষ

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা মহিলা কলেজের নৈশপ্রহরী, আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা ও
পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে তৃণমুলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয় সাইদুর রহমান মনোনয়ন দেয়া হয় আমির হোসেন আমিনকে। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে (স্বতন্ত্র) বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং নৌকাকে পরাজিত করে বিজয়ী হয় সাইদুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা ও সরকারকে ভোট চোর আঙ্খা দিয়ে জামায়াত-বিএনপির ওপর ভর করে করে কালো টাকা ও বির্তকিত ফলাফলে সাইদুর রহমান জগ প্রতিক নিয়ে বিজয়ী হয়। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী দল,নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানী করে তার নিজ ভোটকেন্দ্র চুনিয়াপাড়া স্কুল কেন্দ্রে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার পরাজয় ঘটিয়েছে। এসব ঘটনায় তৃণমুলের নেতাকর্মীর চাপের মুখে সাইদুর রহমানকে দল থেকে বিহঃস্কার করা হয়। অথচ ৩০ জানুয়ারী যে সাইদুর আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদাগার এবং তীব্র সমালোচনা করে নৌকার পরাজয় ঘটিয়েছে, সেই সাইদুর নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করে আগামি ১৪ ফেব্ররুয়ারী তানোর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে প্রচারণায় নেমেছে। আর এতেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নেতাকর্মী তারা বলছে, কদিন আগেই যিনি নৌকাবিরোধী ছিল কদিন পরেই নৌকার পক্ষে তাহলে নিশ্চয় এর নৌকাবিরোধীতার
সঙ্গে ইমরুলের নেপথ্যে সহায়তা ছিল, তা না হলে তো ইমরুলের পক্ষে নৌকার প্রচারণায় সাইদুর রহমানের নামার কথা নয়। কারণ তিনি তো বহিঃস্কার আওয়ামী লীগের কেউ নন। তৃণমুলের নেতাকর্মীরা বলছে, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নৈশ প্রহরীর চ্যালেন্জ করার সামিল। কারণ কাঁকন হাট পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব আব্দুল মজিদ স্বতন্ত্র প্রার্থী, তার মনোনয়ন বৈধ ও বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভনা থাকার পরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্র এবং স্থানীয় সাংসদের সম্মান, দল, নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য শিকার করে সেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, সাইদুর রহমান তার নিজ যোগ্যতায় বিজয়ী হয়েছেন, তবে এখন সে আওয়ামী লীগের কেউ না।